ভিডিও শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না : মাহফুজ আলম

ছবি : সংগৃহিত,জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না : মাহফুজ আলম

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, প্রায় তিন ডজন নিয়োগপ্রাপ্তদের (উপদেষ্টা) মধ্যে ছাত্র মাত্র দু’জন। ছাত্র প্রতিনিধিদেরও এস্টাবলিশমেন্ট রাষ্ট্রপতি অপসারণের ঘটনার পর থেকে কোনঠাসা করে রেখেছে। আমরা দু’জন সর্বোচ্চ ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট করতে পারছি, কিন্তু প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে হলে সরকারে সুষম ছাত্র প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা তুলে ধরে তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে কাজের দায় সরকারের, কিন্তু কাজ করে ক্ষমতার অন্যান্য ভরকেন্দ্র। জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব নয়, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তও সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই। কিন্তু, ঠিকই প্রশাসন, বিচারবিভাগ, পুলিশে তারা স্টেইক নিয়ে বসে আছেন। এস্টাবলিশমেন্ট দ্বি-দলীয় বৃত্তে ফিরতে এবং ছাত্রদের মাইনাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

‘প্রায় তিন ডজন নিয়োগপ্রাপ্তের মধ্যে ছাত্র মাত্র দু’জন। ছাত্র প্রতিনিধিদেরও এস্টাবলিশমেন্ট রাষ্ট্রপতি অপসারণের ঘটনার পর থেকে কোনঠাসা করে রেখেছে। আমরা দু’জন সর্বোচ্চ ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট করতে পারছি, কিন্তু প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে হলে সরকারে সুষম ছাত্র প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।’

তিনি আরও লেখেন, ছাত্রদের কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় তারা এখন বিভক্ত, তদুপরি অন্য রাজনৈতিক দলের মতোই তারা ট্রিটেড হচ্ছেন। এজন্য নাগরিক কমিটিই ছিল দীর্ঘমেয়াদে অভ্যুত্থানের ফোর্স হিসেবে টেকসই। যাইহোক! এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম দেশব্যাপী ছাত্রদের গুছিয়ে উঠতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা বিভক্ত ও দ্বিধান্বিত।

আরও পড়ুন

‘সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র কম্প্রোম্পাইজড। মিডিয়া ও ব্যবসায়ে লীগের আধিপত্য কমেনি। লীগের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে হাত দেওয়া যায়নি। পুরাতন দ্বি-দলীয় বন্দোবস্ত টিকে গেছে। বিচার বিভাগ এখনো দ্বি-দলীয় বৃত্তে বন্দি।’

বাম-ডানের কালচারাল ক্যাচাল জুলাইকে দুর্বল করেছে জানিয়ে তিনি লেখেন, শাহবাগ-শাপলাকে চিরন্তন করে তুলেছে। ডানপন্থিরা ভুল রাজনীতি করেছেন এবং নতুন বাস্তবতায় আবেগের বশে প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা রেখেছেন। বামপন্থিরা প্রথম থেকেই সরকারের প্রতি স্কেপটিক্যাল এবং অভ্যুত্থানের পক্ষে জোরদার ভূমিকা রাখতে অসফল হয়েছে। 

সবচেয়ে ডেডিকেটেড ছাত্রকর্মীরা ক্রেডিট, দলবাজি আর কোরামবাজির খপ্পরে পড়েছেন। আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ হাতেগোনা কয়েকজনের বিরুদ্ধে, কিন্তু ডিমোরালাইজড হয়েছে সমগ্র ছাত্রজনতা। ছাত্রজনতা অভ্যুত্থানের পক্ষের প্রতিষ্ঠান ও নতুন সিভিল সোসাইটি গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, রাজনৈতিক অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক এলায়েন্সের ক্ষেত্রে ছাত্রজনতার কোনো হিস্যা নেই।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক কারাগারে  

নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে মাদারীপুরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কাজ শুরু

ব্রাজিল ফুটবলে আবারও প্রেসিডেন্টকে বরখাস্ত করলেন আদালত

মোস্তাফিজকে দলে ভেড়ানোয় দিল্লি ম্যাচ বয়কটের ডাক

টেকনাফে অভিযানে জব্দকৃত সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস