ভিডিও রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বরগুনায় প্রতারণা ঠেকাতে পুলিশের লিফলেট বিতরণ

বরগুনায় প্রতারণা ঠেকাতে পুলিশের লিফলেট বিতরণ, ছবি: সংগৃহীত।

মফস্বল ডেস্ক: শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ নিশ্চিত করতে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ। আর এ লক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চাকরিপ্রার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি দেওয়া হয়েছে সচেতন বার্তা। প্রতারক চক্রে প্রতারণার ফাঁদে না জড়াতে ইতোমধ্যে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে প্রচার মাইকিং ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ।  

বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো পুলিশের নিয়োগে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা থাকে, ঘুষ ছাড়া পুলিশের চাকরি হয় না। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গোপনে সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তারা পুলিশের চাকরি পাইয়ে দিতে শতভাগ নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থী ও পরিবারের সদস্যদের থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) এবং মো. মনির হোসেন খান (৪০) নামে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বছর বরগুনার নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরির শতভাগ আশ্বাস দিয়ে বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা ইব্রাহিম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এ বছর যাতে নতুন করে কোনো প্রতারক চক্রের প্রলোভনের ফাঁদে কেউ না জড়ায় সে লক্ষে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা পুলিশ। আর এ কারণেই বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্ক বার্তা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেছেন জেলা পুলিশ।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম সাংবাদিককে বলেন, বরগুনায় ট্রেইনি রিক্রুট কস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি আমাদের একটি বার্তা দেওয়া আছে, সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দুর্নীতি মুক্ত এবং স্বচ্ছভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেউ যদি টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায় তবে বুঝতে হবে তারা প্রতারক চক্র। এছাড়া পুলিশের নিয়োগে দুর্নীতি এবং প্রতারণার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা পুলিশের জিরো টলারেন্স ঘোষণা রয়েছে। 

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, নিয়োগের বিষয়ে যেকোনো বিভাগসহ প্রতারণার সঙ্গে যদি পুলিশ বিভাগের কোনো সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় তার উপস্থিততে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণসহ মাইকিং করেছি। আমরা চাই কেউ যাতে প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার না হয়। যদি কারো সঠিক শারীরিক যোগ্যতা, মানুষিক দক্ষতা ও সঠিক পড়াশোনা থাকে তাহলে এমনিতেই তাদের চকরি হবে।  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইমাম-শিক্ষকরাও যেন এমপি হতে পারেন, সেই ব্যবস্থার দাবি এনসিপির

সংসদে নারীদের ১০০ আসনের বিষয়ে একমত বিএনপি

চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক

শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রী নিহত

চট্টগ্রামে বিদেশে ভর্তি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের অপপ্রচারকারি গ্রেপ্তার