নওগাঁয় রঙিন ফুলকপি চাষে তরুণ উদ্যোক্তাদের সাফল্য
নওগাঁ প্রতিনিধি : একই মাঠে কাছাকাছি দুটি ফুলকপির ক্ষেত। ক্ষেত দুটিতে সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে বাহারি রঙিন ফুলকপি। রঙিন ফুলকপি সাধারনত বিদেশী সবজি। এটা বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে চীন ও অস্ট্রেলিয়ায় সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। তবে বাংলাদেশে এটার প্রচলন কম হলেও এবার বরেন্দ্র জেলা নওগাঁয় চাষ হয়েছে রঙিন ফুলকপির। নওগাঁ সদরের হাঁপানিয়া এলাকায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী কারিগরি সহায়তা ও পিকেএসএফ এর অর্থায়নে সবুজ, হলুদ ও বেগুনী জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন দুইজন তরুন উদ্যোক্তা মিনাজুল ইসলাম পিন্টু ও সাজু রহমান। তারা ৮ শতক করে মোট ১৬ শতক জমিতে ৮শ’ করে মোট ১৬শ’ পিচ রঙ্গিন ফুলকপি চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। আবার তাদের দেখে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা মিনাজুল ইসলাম পিন্টু ও সাজু রহমান বলেন রঙিন ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তারা। প্রতিদিনই রঙিন ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। আকারে বড় এবং দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তারা। এবার অন্যান্য কপির দাম কম হলেও এর দাম বেশ ভালো। তারা আরও বলেন রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও স্বুসাদু। এর বৈশিষ্ট্য হলো এ কপি আধাসিদ্ধ করেই খাওয়া যায়। চাষাবাদে খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে লাভ বেশি। আর চারা রোপনের মাত্র ৬৫-৭০ দিনের মধ্যেই কপি বিক্রি করা যায়। একেকটি কপির ওজন হয় ১ থেকে দেড় কেজি।
তারা আরও বলেন, স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী থেকে আমাদেরকে মোট ১৬শ’ পিস রঙিন ফুলকপির চারা সরবরাহ করা হয়। আমরা যখন জমিতে ফুলকপি চাষ শুরু করি তখন অনেকেই বলেছিলেন এসব কপি এলাকায় ভালো হবে না এবং ভাল বাজার পাওয়া যাবে না। আর খেতে ভালো না হলে বিক্রিও হবে না। মনোবল না ভেঙ্গে দুজনে মোট ১৬ শতক জমিতে চারা রোপন করি। দু’জনের খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর প্রতি পিস রঙিন কপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। বিক্রি হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত। আমাদের জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ দেখে এলাকার কৃষকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারাও আগামীতে রঙিন ফুলকপির চাষ করবেন।
আরও পড়ুনরঙিন ফুলকপি দেখতে এসে আকবর আলী ও আবিদা দম্পতি বলেন অনেক আগে টিভিতে দেখেছি রঙিন কপি। কিন্তু বাস্তবে দেখা হয়নি। এখানে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে শুনলাম দুই ভাই না কি বিভিন্ন জাতের রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন। তাই আমরা বাস্তবে দেখতে এসেছি। সবুজ, হলুদ ও বেগুনী জাতের রঙিন ফুলকপিগুলো দেখে আমরা অভিভূত। লোভ সামলাতে না পেরে ৩টি রঙিন ফুলকপি কিনে নিলাম।
মৌসুমীর কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন আকর্ষনীয়, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমান এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, বিটা করোটিন ও ক্যান্সার প্রতিরোধী অ্যানথোসায়ানিন রয়েছে। আগামীর কৃষিতে রঙ্গিন ফুলকপি নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক



_medium_1763101579.jpg)

_medium_1763051889.jpg)


