বারি ১৪ সরিষার মাঠ দিবস
কৃষকের অর্থনীতি শক্তিশালী হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে - সাবেক এমপি লালু

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, কৃষি নির্ভর এই দেশের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষক। কৃষকের অর্থনীতি শক্তিশালী হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। উন্নত জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। কৃষকেরা যে ফসল উৎপাদন করে লাভবান হবে তারা সেই ফসল উৎপাদন করবে। তিনি আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কলাকোপা সুবোধ বাজারে বারি সরিষা-১৪ উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বগুড়ার আয়োজন মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মাহমুদুল হাসান সুজা। বিএআরআই বগুড়ার সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মুহা. তানবীর হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মসলা গবেষণা কেন্দ্র বগুড়া মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার হায়দার প্রধান, গ্রীন কলাকোপা স্টেট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেগম শামসুন নাহার জামান, বিএআরআই রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুল আলম, বগুড়া বিএআরআই ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র ড. মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিএআরআই বগুড়ার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ড. রহমত আলী মোল্লা।
মাঠ দিবসে কৃষিবিদ ড. মো. মাহমুদুল হাসান সুজা জানান, বারি-১৪ সরিষা জাতটি ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে কর্তন করা যায়। প্রতি বিঘায় ফলন হয় পাঁচ মণের বেশি। এতে দুই ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর হয় এবং ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে। কৃষক আমন ধান করার পরে অল্প সময়ের জন্য বারি ১৪-সরিষা চাষ করে সহজেই বোরো ধান আবাদ করতে পারে।
আরও পড়ুনবগুড়াতে প্রায় ৪০-৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এর মধ্যে বর্তমান বছরে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে যার সম্ভাব্য ফলন হবে প্রায় ৪৫-৫০ হাজার টন। যদি সম্ভব্য সকল জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা যায় তাহলে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টন সরিষা উৎপাদিত হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি উন্নত সরিষার জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। তেলজাতীয় ফসলের এরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসলের ফলন বৃদ্ধি করে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো যাবে। যার ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাবে।
মন্তব্য করুন