রংপুরে বকুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর নগরীর বাস টার্মিনাল এলাকার গাজী বকুল হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন গতকাল বুধবার রাতে রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।

কমিশনার জানান, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামি তরিকুল ইসলাম স্বীকার করেছে, মহানগরীর বাস টার্মিনাল এলাকায় জিসান আহমেদ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে গাজী বকুল পতিতাবৃত্তি করাতেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাতে নীলফামারী থেকে তরিকুল ও সুজন নামের দুইজন ওই ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে আসেন এবং তারা টাকার বিনিময়ে সেখানে থাকা দুই নারীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এসময় গাজী বকুল ও তার সহযোগীরা ওই নারীসহ তরিকুলের বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর তরিকুলের কাছে চুক্তির টাকা ছাড়াও তিন লাখ টাকা চাঁদা চায়।

তরিকুল চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বকুল ধারণকৃত ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করলে একটি কক্ষে আটকে রেখে টাকা সংগ্রহ করার সুযোগ দেয়। এরই মধ্যে রাত গভীর হলে গাজী বকুলের সহযোগীরা চলে যায়। এই সুযোগে তরিকুল ও সুজন কৌশলে রুম থেকে বের হয়ে বকুলের মুখ, হাত ও পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ মানে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’

প্রমত্ত পদ্মার বুকে এখন ধু ধু বালুচর

বগুড়ার কাহালুতে হেরোইনসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

পুলিশ কমিশনার বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস ছিল। একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমার তথ্য পাই ওই বাড়িতে অপরিচিত উঠতি বয়সী ও নারী শিক্ষার্থী এবং অপরিচিত লোকজনের আনাগোনার। এরপর আমরা একটি ফোন নম্বর পাই। ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদঘাটন করি। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরিকুলকে বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করি। তাকে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি খোলাসা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির মূল মালিক জিসান আহমেদ ও জাবেদ নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তরিকুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে ওই বাসায় পেশাদার পতিতা ছাড়াও ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করা হতো। বাড়ির মূল মালিক এবং খুন হওয়া ভাড়াটিয়া বকুল দু’জনই সেখানে পতিতাবৃত্তি করাতো। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট চুক্তির বিনিময়ে খদ্দের সংগ্রহ ছাড়াও সুযোগ বুঝে খদ্দেরদের ভিডিও এবং ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতো চক্রটি।