নওগাঁর রাণীনগরে পরীক্ষামূলক লতিকচু চাষ শুরু
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : বরেন্দ্র অঞ্চলখ্যাত নওগাঁর রাণীনগরে ধান চাষের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে লতিকচু চাষ শুরু করেছেন প্রগতিশীল চাষি আসলাম হোসেন। এই উপজেলায় প্রধান কৃষি ফসল ধানের পাশাপাশি স্বল্প সময়ে বেশি মুনাফার আশায় নানা জাতের সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে যোগ হয়েছে রপ্তানিমুখী ফসল লতিকচু চাষ। কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর ব্লকে এই কচুর চাষ শুরু হয়েছে।
কন্দল লতিকচু একটি লাভবান ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফসল। শুধু লতি নয়, কচুর ফুল ও কন্দ অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তাই দেশ জুড়ে এর চাহিদা বেড়েছে এমনটাই বলছেন চাষি আসলাম।
জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে চাষি আসলাম হোসেন প্রায় ৩ মাস আগে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থেকে ২১ হাজার টাকায় সাড়ে ৬ হাজার লতিকচুর চারা নিয়ে আসে। এই চারাগুলো নিজ গ্রাম এনায়েতপুর মৌজার ডিপের পাশে তার লীজকৃত দেড় বিঘা জমিতে গত অক্টোবর মাসে এই লতিকচুর চারা রোপণ করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ওই জমিতে দুইজন শ্রমিক নিয়ে নিজে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করেন। মাঝে মধ্যে শ্রমিক ছাড়াই কাজ করেন তিনি। ইতোমধ্যে একই গাছ থেকে লতা ও ফুল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিব রতন জানান, রাণীনগরে লতিকচুর চাষ স্বল্প পরিসরে আগে থেকেই চলছে। লতিকচু চাষে রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ তুলনামূলক ভাবে কম। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ও কম। আমার এনায়েতপুর ব্লকের চাষি আসলাম হোসেন দেড় বিঘা জমিতে সাড়ে ৬ হাজার কচুর চারা রোপণ করেছে। বর্তমানে লতিকচুর চাষ খুবই লাভজনক। আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত তাকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। কচুর অবস্থা অনেক ভালো। আশা করছি সে এই ফসল চাষ করে তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে।
মন্তব্য করুন