সংবাদ সম্মেলন বগুড়ায় পরিবহন মালিক সমিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির চলমান সুষ্ঠু কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. এরশাদুল বারী এরশাদ।
গত ২৬ নভেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার অনলাইন মাধ্যমে ‘বগুড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম কোচ টার্মিনালে কাউন্টার বন্ধের জের, আওয়ামী সন্ত্রাসী প্রক্সি দিচ্ছেন জামায়াত নেতা এরশাদুল বারী এরশাদ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটিতে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করায় তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বগুড়ার বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে চলে যান। ফলে সেখানে নেতৃত্ব শূন্যতার পাশাপাশি সংগঠন পরিচালনা ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় ৬ আগস্ট সাধারণ মালিকদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কাজগুলো পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ মালিকদের এই সিদ্ধান্ত রাজশাহী শ্রম অধিদপ্তর অনুমোদন দেয়। এরপর থেকে তিনি স্বচ্ছতার সাথে সংগঠন পরিচালনা করে আসছেন। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংবাদিক মহসিন আলী রাজু কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবার কখনও ইনকিলাব পত্রিকায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকান্ডে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে। মহসিন আলী রাজুর সাথে তার ব্যক্তিগত কোন বিরোধ না থাকলেও কোন সংবাদ প্রকাশের আগে তার বক্তব্য না নিয়ে একতরফাভাবে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছেন।
তিনি দাবি করেন, শহরের ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালে বগুড়া-কক্সবাজার রুটে বাস চলাচলের জন্য শান্ত পরিবহনের একটি কাউন্টার খোলা হয়। বিষয়টি সংগঠনের নজরে আসলে সমিতির নেতৃবৃন্দ ঠনঠনিয়া সকল কাউন্টারের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে টার্মিনাল অভ্যন্তরে শাখা অফিসে শান্ত পরিবহনের ম্যানেজার উত্তম কুমারকে ডেকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারেননি। তখন নিজে থেকেই তিনি কাউন্টার বন্ধ রাখেন। তাকে কোন ভয়ভীতি দেখানো হয়নি বা কাউন্টারের সাইনবোর্ড খোলা হয়নি।
আরও পড়ুনএ ধরনের মিথ্যা এবং কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, ইনকিলাব’র সাংবাদিক অন্যের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ বন্ধ না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন